হিলিতে এখনও শুরু হয়নি চামড়া কেনাবেচা

চামড়া মজুত করে রেখেছেন ব্যবসায়ীলাদিনাজপুরের হিলিতে এখনও সেভাবে শুরু হয়নি চামড়া কেনাবেচা। দাম বাড়লে চামড়া বিক্রি করবেন এমন আশায় স্থানীয় আড়তদাররা  চামড়া মজুত করে রেখেছেন রয়েছেন। হিলির মুন্সিপাড়ার চামড়াপট্টির লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে সেসব চামড়াগুলো প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। প্রায় ৪ হাজারের মতো গরুর চামড়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মুন্সিপাড়ার চামড়াপট্টির আড়তদার আমজাদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ট্যানারি মালিকরা এখনও সেভাবে চামড়া না কেনায় ও দাম না দেওয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন চামড়ার আড়তগুলোয় চামড়া কেনাবেচা সেভাবে শুরু হয়নি। ফলে হিলিতেও চামড়া বেচাকেনা সেভাবে জমেনি। আমরা যেসব চামড়া কিনেছিলাম সেগুলো এখনও বেচতে পারিনি। তবে সম্প্রতি ৪ হাজারের মতো ছাগলের চামড়া নাটোরে গিয়ে বিক্রি করতে গিয়ে ফিরে এসেছি। সরকার যেখানে দাম বেঁধে দিয়েছে ১২০ টাকা সেই চামড়া আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ২৪-৮০ টাকা দরে,এর মধ্যে অনেক চামড়া বাদ দিয়ে দিচ্ছে। ঈদের আগে যে ছাগলের চামড়া ৪০ টাকা পিস বিক্রি করেছি সেটি এখন আরও কমে এখন ২৪ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। আর গরুর চামড়া ৩০০-৪০০ টাকায় কেনা বেচা হচ্ছে। যেখানে সরকারের দাম ধরে দিয়েছে ৭০০-৮০০ টাকা হওয়ার কথা।

তিনি বলেন, ‘সরকার চামড়ার দাম বেঁধে দিলেও ট্যানারি মালিকরা সেই দামে চামড়া কিনছেন না। যার কারণে চামড়ার দাম বাড়ছে না। আমরা গরুর চামড়াগুলো লবণ দিয়ে রেখে দিয়েছি। প্রায় ৪ হাজারের মতো চামড়ার মজুত আছে। আমরা চাই সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে চামড়া কেনাবেচা করা হোক, তাতে করে আমরা কিছুটা লাভবান হতাম।’