জেলা প্রশিক্ষক সমন্বয়কারীকে পেটালেন শিক্ষা কর্মকর্তার গাড়িচালক!

জেলা প্রশিক্ষক সমন্বয়কারী ও গাড়িচালকপঞ্চগড়ের জেলা প্রশিক্ষক সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলামকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে শিক্ষা কর্মকর্তার গাড়িচালক ইমতিয়াজ আলী বাবলার বিরুদ্ধে। প্রশিক্ষণ কর্মশালার চা-নাস্তা ও খাবার কেনার দায়িত্ব না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়িচালক ওই কর্মকর্তার ওপর চড়াও বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কর্মকর্তা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা শিক্ষা অফিস জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ২০০শিক্ষকের জন্য ৬ দিনব্যাপী সৃজনশীল প্রশ্নপত্র প্রণয়ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের খাওয়ার সময় বাবলাকে প্রশিক্ষণের চা-নাস্তা ও খাবার কেনার দায়িত্ব না দেওয়ায় তিনি জেলা প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক আমিনুল ইসলামকে বকাবকি শুরু করেন। এক পর্যায়ে সবার সামনে গাড়িচালক বাবলা ওই কর্মকর্তাকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন। পরে খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবলাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান এবং ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

আমিনুল ইসলামের অভিযোগ, ‘বাবলা খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। এ কারণে তাকে এবার এ দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাকে কেন নাস্তা ও খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে আমার ওপর হামলা করেছে। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায় সিংহ বলেন, ‘আমার সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। বাবলা আমার কথাও শোনেনি। ঘটনার পর বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালককে অবহিত করেছি।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক  আকতারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাবলা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ওই কর্মকর্তাকে বলেছি আপনি একাই সব করতেছেন। খাবার কেনার কমিটি আছে তাদের অন্তত জানান। এ কথা বলার পরই তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে মারতে শুরু করেন। আমি ওই কর্মকর্তাকে মারিনি। বরং তিনিই আমাকে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়েছেন।’