কুড়িগ্রামে ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

জব্দ করা কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছেমা ইলিশ নিধন বন্ধে চলমান অভিযানে কুড়িগ্রামে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) কালীপদ রায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএফও জানান, মা ইলিশ রক্ষায় চলমান অভিযানে নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ পর্যন্ত চারটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার নদ-নদীতে মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান ও নজরদারি চলছে।

ডিএফও আরও বলেন,‘কুড়িগ্রামের নদ-নদীতে ইলিশ খুব একটা পড়ছে না। তারপরও আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। নদী থেকে কারেন্ট জাল উদ্ধার হলেও সেসব জালে ইলিশ মিলছে না। আমরা উদ্ধার জাল পুড়িয়ে ফেলছি।’

জেলেদের জন্য বরাদ্দ ভিজিএফ’র চাল বণ্টন প্রসঙ্গে কালীপদ রায় বলেন,‘আমরা চার হাজার ৭৬১ ইলিশ জেলের জন্য ৯৫ দশমিক ২২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ৮৬ মেট্রিক টন বণ্টন করা হয়েছে। বাকি চাল আগামী রবিবারের মধ্যে বণ্টন শেষ হবে।’

প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন সময় ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় দেশের ইলিশ জোনভুক্ত জেলাগুলোতে ইলিশ শিকার, বিক্রি ও বিপণন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ২০১৭ সাল থেকে কুড়িগ্রাম জেলাকে ইলিশ জোনভুক্ত এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার মোট ৯টি উপজেলার মধ্যে ৬টি উপজেলাকে (কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, নাগেশ্বরী, চিলমারী,রৌমারী ও রাজীবপুর) ইলিশ জোনের আওতায় আনা হয়েছে। ইলিশ জোনভুক্ত ওই ছয় উপজেলার মোট ৭ হাজার ৯৩৫ তালিকাভুক্ত ইলিশ জেলে থাকলেও খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭৬১ জনকে। তারা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিনের জন্য ২০ কেজি করে চাল পাবেন।