পঞ্চগড়ে আ. লীগের ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংবাদ সম্মেলন

পঞ্চগড়ে আ. লীগের ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের সংবাদ সম্মেলন (ছবি– প্রতিনিধি)

পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এর মধ্যে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানারে করা সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির বিরুদ্ধে পকেট ও ড্রয়িং রুম কমিটি গঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে সদর উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির নেতারা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কিছু নেতার বিরুদ্ধে ওয়ার্ড সম্মেলন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ করেছেন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে পঞ্চগড় চেম্বার মিলনায়তনে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ টি এম সারোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বকর ছিদ্দিক, সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক হারুন উর রশিদ সেলিম, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ফজলে নূর বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ, মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, নূরল ইসলাম মাস্টার প্রমুখ।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ টি এম সারোয়ার হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব জানান, আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন নিয়ে যে ১২ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মানা হচ্ছে না। অনিয়ম করে ও চাপে পড়ে নিজেদের পছন্দের লোকদের নিয়ে পকেট কমিটি ও ড্রয়িং রুম কমিটি গঠন করা হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত, জাগপাসহ বিভিন্ন দলের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসব কমিটি করা হচ্ছে। এতে ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের দলীয় অবস্থান নাজুক হয়ে পড়বে। কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে গঠনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠনের দাবি জানান তারা।

এদিকে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সদর উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক বিপেন চন্দ্র রায়, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ পারভেজ হিটলার, জোতিশ চন্দ্র রায়, মাহবুব আলম, সাইফুল আলমসহ অনেকে। 

এসময় মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন জানান, বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে কোনও পকেট কমিটি বা ড্রয়িং রুম কমিটি গঠন করা হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনেই ভোটে ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরপরও সম্মেলন বাধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছেন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতারা।