নবদম্পতিকে পেঁয়াজ উপহার

01দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্থিরতা কাটেনি; বরং হু হু করে বাড়ছে এর দাম। অল্প দিনের মধ্যেই পেঁয়াজের মূল্য পার করেছে ডাবল সেঞ্চুরি। এটি এখন শুধু রান্নার উপকরণ নয়, অন্যকে উপহার দেওয়ার মতো বস্তুও হয়েছে পেঁয়াজ। কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জে বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে পেঁয়াজ দেওয়ার ঘটনার পর এবার দিনাজপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে নবদম্পতিকে পেঁয়াজ উপহার দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলার বিরল উপজেলার কলেজপাড়ার বাসিন্দা আইয়ুব আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বিরল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান বিয়ের উপহার হিসেবে নবদম্পতিকে পেঁয়াজ দিয়েছেন। এই উপহার দেওয়ায় বর-কনের আবদারে কাউন্সিলর হাফিজুর রহমানকে ‘উকিল বাবা’ করা হয়েছে। এ ঘটনা পুরো বিরল উপজেলায় আলোচনা হচ্ছে।
জানা যায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিরল পৌর শহরের কলেজপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে রায়হান আলীর সঙ্গে সদর উপজেলার রানীগঞ্জ গ্রামের মাঈনুদ্দিনের মেয়ে মিতু আকতারের বিয়ে হয়। এই বিয়ের অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ নিয়ে হাজির হন কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান। শুধু তা-ই নয়, শনিবার বৌভাত অনুষ্ঠানেও তিনি পেঁয়াজ উপহার দেন।


শুক্রবার বিয়েতে পেঁয়াজ উপহার দেওয়ার পরপরই বর ও কনের ইচ্ছায় উকিল বাবা হিসেবে কাবিননামায় সাক্ষ্য দেন হাফিজুর রহমান।

এ ব্যাপারে কথা হয় বর রায়হান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিয়েতে পেঁয়াজ উপহারের বিষয়টি একটি আমেজ তৈরি করেছে। আমাদের পরিবারের মাঝেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কনে পক্ষের সঙ্গেও বিষয়টি আলোচনা করা হয়। পরে আমি ও কনে মিলে কাউন্সিলরকে উকিল বাবা করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে তিনিও আমাদের আবদারে রাজি হন।






কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান বলেন, বিয়েতে মিষ্টি নিয়ে যেতে চাইছিলাম। দেখলাম, মিষ্টির কেজি ১৮০ টাকা। আর বাজারে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। পেঁয়াজের সংকট হওয়ায় সারাদেশে এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তাই কনের বাড়ির পাশাপাশি ছেলের বাড়ির বৌভাতেও আমি পেঁয়াজ উপহার দিয়েছি। আর সম্মান হিসেবে তাদের উকিল বাবা হয়েছি। এটা আমার অনেক বড় পাওয়া বলে জানান তিনি।