৬ আমদানিকারককে চিঠি দিয়েছে কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর

হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা পেয়াজ

দেশের বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন জেলার আমদানিকারকসহ হিলি স্থলবন্দরের ৬ পেঁয়াজ আমদানিকারককে চিঠি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর।

সোমবার প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিলি স্থলবন্দরের দুই আমদানিকারককে ঢাকায় কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বন্দরের অন্য ৪ জনকেও ডাকা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছে। চিঠিপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা হলেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান ট্রেডার্স, ধ্রব ফারিয়া ট্রেডার্স, সালেহা ট্রেডার্স, এম আর ট্রেডার্স, সুমাইয়া ট্রেডার্স ও রাইহান ট্রেডার্স।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী হারুন উর রশীদ হারুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশে পেঁয়াজের দামের যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা নিয়ে প্রশাসন ও সরকার বিপাকে পড়েছে। এ কারণে তারা হয়তো মনে করছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকদের অথবা বড় বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজি হতে পারে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দেশের বিভিন্ন বন্দরের আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে হিলির ৬ আমদানিকারককে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে, পেঁয়াজের কেনার ও বিক্রির মূল্য এবং কাদের কাছে বিক্রি করেছি এমন তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমরা এসব তথ্য সংযুক্ত করে এরইমধ্যে চিঠির জবাব পাঠিয়েছি। আজ সশরীরে দুজন আমদানিকারক সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হিলি স্থলবন্দরের বিষয়টা একটু আলাদা, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে যে সব আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানি করে তারা সবসময়ই সরকারকে সহযোগীতা করেন। দেশের মানুষ যেন কম দামে পেঁয়াজ খেতে পারে সে বিষয়ে আমরা যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছি। সারাদেশে টিসিবি যে পেঁয়াজ সাপ্লাই দিচ্ছে তার বেশিরভাগ হিলির আমদানিকারকদের আনা। ২০১৪ সালে সারাদেশে বিএনপি জামায়াতের যে অসহযোগ আন্দোলন ছিল সে সময় সব বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেও আমরা হিলি থেকে পেঁয়াজ সরবরাহ করেছি। তখন আমরা ঝুঁকি নিয়ে রিকশায় করেও পেঁয়াজ সরবরাহ করেছি।   এক কথায় বলতে পারি হিলির পেঁয়াজ আমদানিকারকরা কেউ ইচ্ছে করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায়নি বা চেষ্টাও করেনি।

তিনি আরও বলেন,‘আমাদের কয়েকজন আমদানিকারকের এখনও প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার টনের মতো পেঁয়াজের এলসি দেওয়া রয়েছে। ভারত রফতানি বন্ধ রাখায় এলসির বিপরীতে কোনও পেঁয়াজ আসছে না। তবে ভারত রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেই দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা কেটে যাবে।