রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে উলিপুর উপজেলা খাদ্য গুদামে গিয়েও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কৃষকের পরিবর্তে ব্যবসায়ীরা ৮-১০টি ট্রলিতে বোঝাই করে ধান গুদামে ঢুকাচ্ছেন। সেখানে কোনও কৃষককে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক দেখে ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে অনুরোধ করে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তারা এ ধরনের কাজ আর করবেন না। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ব্যবসায়ী এ ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ না করার অনুরোধও করেন।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষক যেন ভালো মুনাফায় ধান বিক্রি করতে পারেন সেজন্য উলিপুরেও খাদ্য অধিদফতর ইউনিয়ন পর্যায়ে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে জয়ী কৃষকরা এক টন করে ধান বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু লটারি জয়ী কৃষকের কৃষি কার্ড এক থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনে নিচ্ছেন প্রভাবশালী মহলের আর্শিবাদপুষ্ট ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা। আর খাদ্য বিভাগের দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তার এতে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে।
খাদ্য গুদামের একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের আর্শিবাদপুষ্ট ও গুদাম কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীরা পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে ট্রলি বোঝাই ধান এনে গুদামে ঢুকাচ্ছেন।
খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখবো।’ পরবর্তীতে তিনি জানান, ঘটনার সত্যতা পেয়ে ধান বোঝাই ট্রলিগুলো গুদাম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার বর্মনের মোবাইলে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা খাদ্য সংগ্রহ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের বলেন, ‘বিষয়টি জানা মাত্র উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামীতে এ ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।’