বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিস।
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, শীতে বেশি কষ্ট করছেন জেলার শ্রমজীবী জনগোষ্ঠি, শিশু ও বৃদ্ধরা। শ্রমজীবী ও স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ চলমান থাকলেও শীতার্ত মানুষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও শীতবস্ত্র বিতরণে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন শীতার্তদের জন্য কম্বলের পাশাপাশি শীতের পোশাকও প্রয়োজন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ত্রাণকর্মীরাও শীতার্তদের জন্য শীতের পোশাকের কথা বলেছেন। উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন পুরোটাই ব্রহ্মপুত্র নদের মাঝে। এখানে শীতের প্রকোপ অনেক তীব্র। শীতে এলাকার শিশুরা ডায়রিয়া আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সরকারি বা বেসরকারিভাবে শুধু কম্বল ছাড়া অন্যকিছু বিতরণ করা হয়নি। এ এলাকায় কম্বলের পাশাপাশি শীতের পোশাকসহ শিশু খাদ্যের প্রয়োজন।’
সমাজকর্মী সুজন মোহন্ত বলেন, ‘প্রতি বছরই কম্বল বিতরণ করা হয়। আসলে কম্বল শীতার্তদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর। তারা কাজে বের না হলে খাবার জোগাতে পারেন না। এজন্য এসব মানুষের জন্য প্রয়োজন শীতের পোশাক। তাহলে তারা সেগুলো পরিধান করে কাজেও বের হতে পারবেন।’
এদিকে সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিমের বরাত দিয়ে নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, বুধবার জেলায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি। সেটি ছিল মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও কমে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনে সূর্যতাপের অভাবে জেলায় জেঁকে বসেছে শীত। এমন শীতে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষজন।
এ জেলাতেও শীতবস্ত্র বিতরণে অংশ নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন শীতার্তদের জন্য কম্বলের পাশাপাশি শীতের পোশাকও প্রয়োজন।
শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন গৃহস্তরা। গরু-ছাগলকে রক্ষায় চট জড়িয়ে রাখা হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এস এ হায়াত বলেন, ‘নীলফামারীর ছয় উপজেলায় এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৫৭ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। শীত পোশাক বিতরণেরও কাজ চলছে।