চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিচয় মিলছে না

01লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চার মাস ধরে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বা নারীর পরিচয় মিলছে না। তিনি কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না। তার আত্মীয়-স্বজন কাউকে এখনও খুঁজে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে ওই নারীকে নিয়ে হাসপাতালের নার্স ও গাইনি চিকিৎসক বিপাকে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন গাইনি চিকিৎসক ডা. মাহমুদা বেগম। অপরদিকে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. আব্দুল বাসেত বলেন, ওই নারীর আপাতত মেজর অন্য কোনও সমস্যা নেই। তবে তিনি কেন কথা বলছেন না, এই বিষয়ে সাইকোলোজিক্যাল চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক সহযোগিতা প্রয়োজন।’

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে সরজমিনে লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে এক সন্ধ্যায় হাসপাতালের গেটের সামনে শুয়ে থাকা অজ্ঞাত ওই নারীকে হাসপাতালের কর্মীরা উদ্ধার করে তাকে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় তলায় গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তবে তার শারীরিক তেমন কোনও সমস্যা নেই। তবে তিনি কোনও কথা না বলায় সাইকোলিজিক্যাল কোনও সমস্যায় ভুগছেন কিনা, বিষয়টি জানতে তারা উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথাও ভাবছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মনজুর মোরশেদ দোলন বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়ের ওই নারীকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। কিন্তু তার কোনও পরিচয় মিলছে না। আসলে একজন রোগীকে চার মাস ধরে আমরা মানবিক কারণে রেখেছি। তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’

লালমনিরহাট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘অজ্ঞাত ওই নারীর চিকিৎসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে। সরকারি খরচে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি। আগামী মার্চের শেষের দিকে বা এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি সন্তান প্রসব করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। যদি কেউ তাকে চিনে থাকে তাহলে হাসপাতালে যোগাযোগ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। তাছাড়া সমাজসেবা কর্তৃপক্ষও চেষ্টা করছে।’