গাইবান্ধায় দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ

করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মা-ছেলের সংস্পর্শে আসা হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় সংগ্রহ করা নমুনা নিয়ে ঢাকায় ফিরেছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর'র প্রতিনিধি দল। পরীক্ষা-নীরিক্ষার ফলাফল জানা যেতে পারে আগামী শনিবার। আইইডিসিআর থেকে এ ফলাফল জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'বিয়ের দাওয়াতে এসে প্রবাসী মা-ছেলের সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন এলাকার আত্মীয় পরিবারের প্রায় শতাধিক ব্যক্তির তালিকা করা হয়। তাদের মধ্যে জ্বর-সর্দি, ব্যথা ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের রক্ত, কফসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন আইইডিসিআর প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকালে গাইবান্ধায় পৌঁছে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলটি দু’দিন অবস্থান করে বুধবার রাতে গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। সংগ্রহ করা নমুনাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলছে। পরীক্ষা সম্পন্নের পর আগামী শনিবার ফলাফল জানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ফলাফল আইইডিসিআর থেকে জানানো হবে। ফলাফল পজিটিভ-নেগেটিভ নিশ্চিতের পরেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, করোনার বিস্তারে গাইবান্ধা জেলাজুড়েই ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে মানুষের মাঝে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সকাল থেকেই গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও স্বাস্থ্য বিভাগ ছাড়াও মাঠে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন। বর্তমানে জেলা শহরসহ সাত উপজেলা শহর এবং গুরুত্বপূর্ণ সব এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শহর ও রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি নেই। যানবাহনের সংখ্যা কমায় অধিকাংশ এলাকাই ফাঁকা।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম সূত্রে গেছে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যক্তির সংখ্যা ২৯০ জন। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৩১ ব্যক্তি। ১৪ দিন মেয়াদ শেষে ছাত্রপত্র পেয়েছেন ৬৯ জন।