এলাকাবাসী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনে কর্মরত ছমির উদ্দিন উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের শৌলমারী গ্রামে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খালের জমি দখল করে পশ্চিম তীরে পুকুর খনন করছেন। এতে যেকোনও সময় তীর ধসে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জমি ও ফসলের ক্ষতি হতে পারে। সেচ খালের তীর হতে প্রায় একশ' ফিট জায়গা সরকারি অধিগ্রহণকৃত। তারপরও তারা কোনও তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো করে পুকুর খনন করে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শৌলমারী গ্রামে তিস্তা সেচ প্রকল্পের খালের পশ্চিম তীরে টিন দিয়ে ঘিরে প্রায় ৩০ জন শ্রমিক পুকুর খনন করছেন। সেখানকার একজন নারী সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, 'করোনায় যেহেতু লকডাউন ও সরকারি ছুটি চলছে, তাই এই ফাঁকে কাজগুলো এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।' পরে জানতে পারি তিনি ছমির উদ্দিনের স্ত্রী।
এ বিষয়ে ডালিয়া ডিভিশনের উপসহকারী প্রকৌশলী রবিন সিন ফিরোজ বলেন, ‘যেহেতু আজ প্রথম খবরটা পেলাম। আমি সেখানে যাবো। সরেজমিনে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। তারা দুজনই আমাদের পিয়ন। সার্ভিস রুল অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। সেচ খালের ১০০ ফিটের মধ্যে পুকুর খনন করা হলে অবশ্যই তা অপরাধ। তদন্ত করতে লোক পাঠানো হবে। অভিযোগ সত্য হলে খনন কাজ বন্ধ করা হবে।'