সরেজমিনে শনিবার (১৬ মে) দুপুরে শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য দোকানের সামনে টাঙানোর কথা ছিল সতর্কবাণী সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন। তবে তা মানছেন না ব্যবসায়ীরা। মালিক ও কর্মচারীদের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাভস। নিয়ম-নীতির (স্বাস্থ্যবিধি) তোয়াক্কা করছেন না কেউ।
নীলফামারী বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও লিয়ন ক্লোথ স্টোরের মালিক বেলাল হোসেন জানান, মাস্ক পরে কথা বললে গ্রাহকরা শুনতে পান না। তাই তিনি মাস্ক পরেননি। বোতলে জীবাণুনাশক পানি রেখেছেন, তবে নেই তার কোনও ব্যবহার। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, 'খরিদদার চলে গেলে পানি ছিটানো হবে।'
বড় বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ও স্মৃতি গার্মেন্টেসের মালিক মকবুল হোসেন বলেন, 'করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানার সব ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু ক্রেতারা এসব নিয়ম মানছেন না। আবার তাদের কিছু বললে ক্ষুব্ধ হয়ে দোকান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বেচাকেনার স্বার্থে ক্রেতাদের বেশি কিছু বলতেও পারছি না।'
একই বাজারের ফাতেমা গার্মেন্টস অ্যান্ড ক্লোথ স্টোরের সামনে কথা হয় কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের মধ্য শালহাটি গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানীর সঙ্গে। তিনি জানান, সরকার করোনা প্রতিরোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। দোকানের সামনে সতর্কতামূলক নেই পোস্টার, নেই জীবাণুমুক্ত পানির বোতল। এ ছাড়াও সামাজিক দূরত্বের নেই কোনও প্রচারণা। এতে লোকজন বাজার থেকে সংক্রমিত হয়ে বাড়িসহ পাড়া মহল্লায় ছড়িয়ে দেবে করোনাভাইরাস।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. এলিনা আকতার বলেন, 'স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা-বিক্রেতারা গ্লাভস ও মাস্ক পরে কেনাকাটা করতে পারবেন।' তিনি জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই কেনাকাটা চলবে। তবে অনিয়মের অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।