চামড়া কিনে ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

কেনা চামড়া সুরক্ষিত রাখতে লবণ দেওয়া হচ্ছেকোরবানির ঈদের পাঁচ দিনের মাথায়ও কিনে রাখা চামড়া বিক্রি করা যাচ্ছে না। এবার কিছু টাকা লাভের আশায় ধার দেনা করে ১৬০ পিস চামড়া কিনেন নীলফামারী পৌর শহরের বারাইপাড়া মহল্লার মাঝারি ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী (৬০)। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ট্যানারি মালিকরা সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া না কেনায় বিপাকে পড়েছেন মাঝারি ব্যবসায়ীরা।
একই এলাকার মাঝারি ব্যবসায়ী লাল মিয়া (৪৫) জানান, প্রতি বছর ২০০-২৫০ পিস চামড়া কিনে তারপর বিক্রি করি। কিন্ত এবার কেনা চামড়া বিক্রি করতে না পেরে মাথায় হাত পড়েছে। স্থানীয়ভাবে ধার-দেনা করে দু’টাকা লাভের আশায় চামড়া কিনেছি। এখন পাওনাদারের চাপে বাড়ি ছাড়া। সরকার নির্ধারিত বর্গফুটে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছি। খরচসহ প্রতিটি চামড়ার দাম পড়েছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কিন্ত এখন তা অর্ধেক দাম বলছে। চামড়া কেনা-বেচার বিষয়ে কোনও মহাজন এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
জেলা সদরের টুপামারী ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়ার পাইকারী ব্যবসায়ী ময়নুল ইসলাম (৫৫) জানান, স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও সঠিক সময় তারা চামড়া কেনার জন্য টাকা দেয় না। সেই টাকা পাওয়া গেলেও তার কাগজ পত্র ঠিক করতে করতে ঈদ পেরিয়ে যায়। মাঝারি ব্যবসায়ীদের ত্রিমুখী সংকটের মধ্যে ব্যবসা করতে হয়। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এ বিষয়ে সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে বলেও জানান।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এস এম শফিকুল আলম ডাবলু জানান, এটি মূলত আন্তর্জাতিক বিষয়। বিদেশী বায়াররা তাদের কৌশল অনুযায়ী চামড়ার দাম নির্ধারণ করে থাকেন। এর প্রভাব পড়ে সারা বিশ্বে। আর্ন্তজাতিকভাবে এই সমস্যার সমাধান না হলে চামড়ার বাজার নিয়ে কোনও মন্তব্য করা যাবে না।