সালিশ ডেকে আহত হলেন চেয়ারম্যান

আহত ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংহঠাকুরগাঁওয়ে সালিশ ডেকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন খোদ ইউপি চেয়ারম্যান। তার ডাকা ওই সালিশি বৈঠকে তিনিসহ আহত হয়েছেন মোট চারজন। সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে সদর থানার পুলিশ।
বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম।

আহতরা হলেন- বড়গাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংহ (৫৫), গ্রাম পুলিশ আতাউর রহমান (৫৫), কুলসুম আক্তার (২৭) ও ফিরোজ (২৫)।

এলাকাবাসী জানান, ১০ বছর আগে বড়গাঁও ইউনিয়নের আরাজি-সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে সোহেল রানার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেবীপুর ইউনিয়নের পয়সাফেলা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে কুলসুম আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের একটি মেয়েও হয়। প্রায় দেড় মাস আগে বজ্রপাতে সোহেল রানার মৃত্যু হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছ এক বিঘা জমি দাবি করে কুলসুম। এ নিয়ে কুলসুমের ওপর নির্যাতন শুরু করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা হলেও কোনও সমাধান হয়নি।

সোহেলের বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বড়গাঁও ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংহ ঘটনার দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশের আয়োজন করেন। কিন্তু সালিশ চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা ও পরে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এগিয়ে আসলে তিনি ছাড়া আরও ৩ জন আহত হন। আহত হওয়ার কথা স্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার সিংহ জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।