শনিবার আসা পেঁয়াজের অধিকাংশই পচা

পচা পেঁয়াজপঁচ দিন ভারতে ট্রাকে লোড হয়ে আটকে থাকার পর শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ রফতানি করেছে ভারত। অনেক আলাপ-আলোচার পর এলেও এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই পচে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ডলার দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি করেছি বা পেঁয়াজ কিনেছি, কিন্তু ভারত সরকার আমাদের পেঁয়াজ দেয়নি; দিয়েছে পেঁয়াজের জুস। এমন জুস দিয়েছে যে, মানুষকে বিনামূল্যে দিলেও তারা নিতে চাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে। শনিবার বন্দর দিয়ে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে; যার মধ্যে ৬ ট্রাক পেঁয়াজ আমাদের ঘরে। বাকি পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে পানি বের হচ্ছে। পোকা ধরেছে, ভালো পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। গতবারও ঠিক এমন সময় পেঁয়াজ নিয়ে যা করেছিল মোদি সরকার, এবারও তাই করলো। আমরা দুই দেশকে ট্যাক্স দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যদি এমন করা হয় তবে আমাদের রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

স্থানীয় নাসিমা বেগম ও কাদের হোসেন বলেন, ‘শনিবার আসা পেঁয়াজের অধিকাংশই পচা, নষ্ট, পেঁয়াজ দিয়ে পানি বের হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা রাস্তার ধারে ফেলে দিয়েছেন। বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি, এ কারণে আমাদের মতো গরিব মানুষের পেঁয়াজ কিনে খেতে সমস্যা হচ্ছে। তাই রাস্তার ধারে ফেলে দেওয়া এসব পেঁয়াজ বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। বাসায় নিয়ে গিয়ে পরিষ্কার করে এর মধ্যে থেকে যা পাওয়া যায়, তাই বাড়িতে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে।’

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনও কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরে শুক্রবার একটি নোটিফিকেশন জারি করে যে, গত রবিবার টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে তার অধিকাংশই ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’