‘দেড় লাখ ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তর করা হবে’

 




মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক‘আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের এক লাখ ৫১ হাজার ফার্মেসিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তর করা হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশাতবার্ষিকীতে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’

সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর পর্যটন মোটেলের অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।


মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে মডেল ফার্মেসি ও মডেল মেডিসিনশপের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা এবং নকল, ভেজাল, আনরেজিস্টার্ড ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ প্রতিরোধে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুস।
মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, দেশের ওষুধ ব্যবস্থা বর্তমানে ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শতকরা ৯০ শতাংশ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেশেই, আর বিশ্বের ১৪৮টি দেশে বাংলাদেশ ওষুধ রফতানি করে। ইতিমধ্যেই দেশের ৩৭ হাজার ফার্মেসি মডেলের আওতায় এসেছে এবং ৫০ হাজার ফার্মেসি মডেল মেডিসিনশপের আওতায় রয়েছে।


তিনি বলেন, ফার্মেসি লাইসেন্স ব্যতীত, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোথাও ওষুধ বিক্রি করা যাবে না। এজন্য ওষুধ প্রশাসন কাজ করছে এবং ২৭ হাজার লাইসেন্সবিহীন দোকান শনাক্ত করা হয়েছে। ১১ কোটি ৬৯ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৩৭ কোটি টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ নষ্ট করা হয়েছে। ওষুধের দোকানে অন্য পণ্য বিক্রি করা যাবে না। ফার্মেসিতে একাধিক ফার্মাসিষ্ট থাকতে হবে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে সচেতন হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্যও দেন তিনি।


ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের আসার খবরে বন্ধ ওষুধ দোকানএদিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালকের আগমনের সংবাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বেশিরভাগ ওষুধের দোকান বন্ধ ছিল। এতে করে ওষুধ কিনতে আসা রোগীর স্বজনেরা বিপাকে পড়েন। ওষুধ ক্রয় করতে আসা অনেকেই জানান, সকাল থেকেই বেশিরভাগ দোকান বন্ধ। ফলে যে কয়েকটি দোকান খোলা ছিল সেগুলোতে বেশ চাপ সৃষ্টি হয়। সাংবাদিকরা বিষয়টি ওষুধ প্রশাসনের জেলা কর্মকর্তা সুলতানুল আরেফিনকে অবহিত করলে তিনি এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বন্ধ থাকা ওষুধ দোকানগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এরপর তিনি মতবিনিময় সভায় বলেন, আমরা অভিযান চালাতে নয় বরং তাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। কিন্তু আমার আসার সংবাদের পর অনেকেই দোকান বন্ধ রেখেছেন। এ ধরনের কার্যক্রম আমি আশা করিনি। দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে যাওয়ার কারণ কি সেটাও বোধগম্য নয় বলেও জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক।