পঞ্চগড়ে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা, হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা

প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে এবার তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। কোনও কোনও দিন আকাশ পরিষ্কার সকালেই সূর্য মিষ্টি রোদ নিয়ে উদয় হচ্ছে। আবার কোনও দিন ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত থাকছে চারপাশ। মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে গোটা জেলা ঢাকা ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে। রোদের দেখা না মেলায় রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতিও ছিল কম। যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করেছে।

তবে মাঘের শুরুতে দু’দিন শীতের দাপট ছিল সবচেয়ে বেশি। সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। হিমেল বাতাস ছিল। দিনে-রাতে শীতের দাপট ছিল সমান। কনকনে বাতাসে এলাকার মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

অন্যদিকে সোমবার সকালে সূর্যের দেখা মিলেছে। তবুও তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। দিনে সূর্যের দেখা মিললেও রাত থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে।

এদিকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন।

মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সাইবেরিয়ান বাতাস হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে যখন দক্ষিণে প্রবেশ করে, তখনই শৈত্যপ্রবাহ দেখা দেয়। আকাশ পরিষ্কার থাকলে বাতাস সরাসরি প্রবাহিত হয়, এ কারণে তখন তাপমাত্রা কমে যায় এবং শীতের দাপট বাড়ে। আবার যখন ঘন কুয়াশা থাকে ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তখন সাইবেরিয়ান বাতাস প্রবাহিত হতে পারে না, এ কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকে বলে জানান তিনি।