নিষেধাজ্ঞা ভেঙে বেরোবিতে শিক্ষকদের মিছিল, ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল, অবস্থান কর্মসূচিসহ সব ধরনের আন্দোলন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশনা ভেঙে কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সদস্যরা।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বর থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষক-কর্মকর্তরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ভিসির বাসভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান। তিনি বলেন, ভিসি ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ ও মৌন মিছিল নিষিদ্ধ করেছেন। এটা এক ধরনের সামরিক ফরমান, আমরা তার এই অবৈধ নির্দেশনা মানি না।

শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ অভিযোগ করেন, বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ১৪শ’ দিনের মধ্যে ১২শ’ দিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তার ওপর দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সব ধরনের রেকর্ড ভেঙেছেন। তার এ সব অনিয়মের প্রতিবাদ যাতে না হয় সে জন্য তিনি গোপনে ঢাকায় সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গণতান্ত্রিক চর্চার একটি স্থান, এখানে কোনও কারও অপকর্ম ঢাকতে অগণতান্ত্রিক নির্দেশনা মানা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, উপাচার্য ঝুঁকিপূর্ণ কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। আসলে কারা ঝুঁকিপূর্ণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারী? আমরা মনে করি উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি এক এগারোর কুশিলবদের একজন। আমরা আর তার কোনও নিষেধাজ্ঞা মানবো না। অবস্থান কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে রাসেল চত্বরে যান শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।