হিলিতে সীমান্ত পাহারা থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মতো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। একইসঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরেও রয়েছে তাদের সরব পদচারণা। প্রায় প্রতিটি সেক্টরে রয়েছে নারীদের অবদান। কাজের মাধ্যমে নিজেরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের প্রতিও দায়িত্ব পালন করছেন তারা।
একটা সময় ছিল যখন নারী মানেই ভাবা হতো তারা বাড়িতে রান্নার কাজ করবেন ও সন্তানদের দেখভাল করবেন, ঘর সামলাবেন। তারা ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না, থাকতে হবে চার দেওয়ালে বন্দি। কিন্তু সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসে নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছেন। বহিশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষায় সীমান্তে অস্ত্র হাতে পাহারার পাশাপাশি, বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানির পণ্য রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ, দুদেশের মাঝে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের তথ্য ও ব্যাগেজ তল্লাশি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নারী চোরাকারবারী ও নারী অপরাধী আটকসহ প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে তারা রেখেছেন দক্ষতার স্বাক্ষর।
হাকিমপুর থানার পুলিশ সদস্য রিক্তা ও জনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা এই পেশায় নিযুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে নিজেরা যেমন দেশের জন্য কিছু করতে পারছি, পাশাপাশি আমাদের পরিবারকেও আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারছি। নারী অপরাধীদের ধরতে ও তাদের দেহ তল্লাশিসহ দাফতরিক বিভিন্ন কাজ করছি আমরা। পুরুষদের পাশাপাশি আমরাও আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি, কোনও সমস্যা হচ্ছে না। পুলিশের মতো এমন চ্যালেঞ্জিং পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করার মধ্য দিয়ে নিজেদের গবির্ত মনে করছেন বলে জানান তারা।
হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে পুরুষ সদস্যের সঙ্গে নারী সদস্যরাও ভালো কাজ করছেন। পুরো দেশের মতো হাকিমপুর থানায় নারী শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ডেস্ক চালু রয়েছে। এখানে একজন এএসআইসহ ছয় জন নারী কনস্টেবল কর্মরত রয়েছেন। তারা নারী আসামিদের গ্রেফতার, তল্লাশি ও থানায় আগত নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী ও বয়স্ক সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদানসহ দক্ষতার সঙ্গে দাফতরিক নানা কাজ করে যাচ্ছেন। যারা এই ডেস্ক থেকে সেবা নিয়ে গেছেন পরবর্তীতে ভিন্ন অফিসারকে দিয়ে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছিলাম, তারা প্রত্যেকেই নারী পুলিশ সদস্যদের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, যা পুলিশের জন্য নতুন মাইলফলক।