ব্র্যাকের নারীকর্মীকে অপহরণ,  প্রথম স্বামীকে সন্দেহ

নীলফামারীর জলঢাকায় ব্র্যাকের এক নারী কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীকর্মী জলঢাকা ব্র্যাক অফিসের কর্মসূচি সংগঠক মনিরা সুলতানা (৩৩)। জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সোমবার (৭ জুন) উপজেলার পেট্রোলপাম্প এলাকা থেকে ওই নারীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মনিরার স্বামী সেলিম রেজা বাদী হয়ে জলঢাকা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই নারী উপজেলা ব্র্যাক অফিস থেকে বের হয়ে অফিসের কাজে একটি চার্জারভ্যানে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। ভ্যানটি পেট্রোল পাম্প এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি মাইক্রোবাস এসে ভ্যানটি থামিয়ে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যায়। ভ্যানচালক ওই নারীকে রক্ষার চেষ্টা করলে অপহরনকারীরা তাকে কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে রেখে যায়।

জলঢাকা উপজেলা ব্র্যাক অফিসের ব্যবস্থাপক আমিনুল ইসলাম বলেন, মনিরা সুলতানা কর্মসূচি সংগঠক হিসাবে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল যোগ দিয়েছেন। এর আগে, তিনি কুড়িগ্রামের উলিপুরে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী জেলা সদরের কাজিরহাট ব্র্যাক অফিসের কর্মসূচি সংগঠক হিসেবে কর্মরত। মনিরা সুলতানার স্বামী সেলিম রেজা সাংবাদিকদের জানান, তার স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় তিনি জলঢাকা থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করেছি। আশা করি অপহরণকারীদের শনাক্তসহ তাকে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।

সূত্র জানায়, মনিরা সুলতানার প্রথম স্বামী কুড়িগ্রামের মোর্শেদুর রহমান। গত বছরের নভেম্বর মাসে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সেলিম রেজার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। মনিরা দ্বিতীয় বিয়ের পর তার প্রথম স্বামী তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত রোজার ঈদে তার দ্বিতীয় স্বামী সেলিম রেজার গ্রামের বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জে ঈদ করতে যায়। সেখানে প্রথম স্বামী মোর্শেদুর, মনিরাকে অপহরণের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি জিডিও করেছিলেন মনিরা। ধারণা করা হচ্ছে প্রথম স্বামী হয়তো মনিরাকে জলঢাকা থেকে অপহরণ করতে পারেন। ওসি বলেন, আমরা এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি।