বাংলাবান্ধায় ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন, চালক দগ্ধ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন লেগেছে। এ আগুনে ওই ট্রাকের চালক দগ্ধ হয়েছেন। তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. আব্দুল্লাহ জানান, রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থলবন্দরের ভেতরের ইয়ার্ডে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।

জগবন্ধু রায় নামে ভারতীয় ওই চালককে চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি ভারতের দার্জিলিং জেলার ঢুপগুঁড়ি এলাকায়।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ৩৪ মেট্রিক টন চালসহ ভারতীয় ওই ট্রাকটি আনলোডের অপেক্ষায় স্থলবন্দরে আটকে ছিল। তীব্র দাবদাহের মধ্যে দুপুরে ট্রাকের ভেতরে কেরোসিনের গ্যাসস্টোভে রান্না করার জন্য ম্যাচের কাঠিতে আগুন জ্বালানো হচ্ছিল। এ সময় ম্যাচের কাঠি ভেঙে নিচে পড়ে যায় এবং ট্রাকের কেবিনের ভেতরে আগুন লেগে যায়। আকস্মিক ট্রাকটিতে (ট্রাক নং ওয়েস্ট বেঙ্গল-৭৮৫১৮০ গাড়ির মালিক মিঠু রায়) আগুন লাগায় জগবন্ধু রায় দগ্ধ হন। এ সময় ট্রাকের ইঞ্জিন ভস্মীভূত হয় এবং ট্রাকের ওপরে থাকা চালের বস্তায় আগুন লাগে। আগুনে প্রায় ২০ বস্তা চালের আংশিক পুড়ে যায়। ট্রাকের ইঞ্জিন থেকে কোনোরকমে বের হয়ে আসা চালককে তাৎক্ষণিক ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্দরের লোকদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

PANCHAGARH LANDPORT FIRE PIC-03ওই চালের আমদানিকারক মেসার্স পুলক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ পুলক বলেন, ‘সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সিলেক্টেড ট্রেডার্সের হাফিজুর রহমানের মাধ্যমে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে ১০০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছি। ৩৪ মেট্রিক টনের তিনটি ভারতীয় গাড়িতে করে এসব চাল আনা হয়। গত বুধবার দুটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রাক থেকে চাল আনলোড করতে চাইলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেড কর্তৃপক্ষ অপর ট্রাক না আসা পর্যন্ত ট্রাক থেকে চাল আনলোড করতে দেননি। তীব্র গরমে দুপুরে আকস্মিক ট্রাকে আগুন লেগে যায়। স্থলবন্দরের অবহেলা অব্যবস্থাপনায় ও তাদের ভুলে এ ঘটনাটি ঘটেছে। ট্রাকগুলো আনলোড করা হলে এমন ঘটনা ঘটতো না। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ভুলে এখন সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হলো।’

এ বিষয়ে জানতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদের যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করে বন্ধ দিয়েছেন।