ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক গ্রেফতার

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ধর্ষণের অভিযোগে শাহিন আলী বাবু (৩৯) নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার গোলাহাট কলোনী মহল্লার মৃৃত আজগার আলী ছেলে। এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। সোমবার (১ নভেম্বর) উপজেলার ঘোড়াঘাট (গোলাহাট) রেলওয়ে কলোনি মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঘটনা ঘটে ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার থানাপাড়া এলাকার এক নারী স্বামীসহ বাস করতো সৈয়দপুরের ঢেলাপীর উত্তরা আবাসনে। চিকিৎসা সূত্রে পরিচয় হয় পল্লী চিকিৎসক শাহিন বাবুর সঙ্গে। ফার্মেসিতে যাতায়াতের কারণে এক সময় বাবুর সঙ্গে ওই নারীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাবু তাকে বিয়ের কথা বললে সাত বছর আগে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বাবু তাকে ঢাকায় নিয়ে বাসা ভাড়া করে ভরণ-পোষণসহ সার্বিক ব্যয় বহন করে আসছে।

বাবু মাঝে মধ্যে ঢাকায় গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো থাকতো। ওই নারীও সৈয়দপুরে এলে বাবুর বাড়িতে অবস্থান করতেন।তবে বিয়ের জন্য রাজি হচ্ছিলেন না বাবু। এ অবস্থায় গত ২৮ অক্টোবর পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন বাবু। খবর পেয়ে ৩০ অক্টোবর ওই নারী সৈয়দপুরে এসে দেখেন শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে চলছে বাবুর বউভাতের অনুষ্ঠান। পরে ওই নারী তার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু জানান বিয়ে করলেও তার সঙ্গে আগের মতো সম্পর্ক থাকবে।

এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় প্রতারণা ও বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার এসআই তারেক মাহমুদ আসামিকে তার চেম্বার থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

তবে পল্লী চিকিৎসক বাবু ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারী আমার রোগী। সে স্বামী পরিত্যক্ত ও দরিদ্র অসহায় হওয়ায় চিকিৎসার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতা করতাম। সাত বছর ধরে মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করা ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্ক নেই। ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

সৈয়দপুর থানার ওসি মো. আবুল হাসনাত খান জানান, দীর্ঘ সাত বছর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও ধর্ষণের অভিযোগে বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।