কুড়িগ্রামের ২৭ ইউনিয়নের ১০টিতে নৌকার জয়

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ২৭ ইউনিয়নের ১০টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। এ ছাড়া পাঁচটিতে লাঙল, ১০টিতে স্বতন্ত্র ও একটিতে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।

রবিবার (২৮ নভেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষ রাতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা এসব ফলাফল ঘোষণা করেন। তবে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনি সামগ্রীর বস্তা ‘ছিনতাইয়ের’ ঘটনায় সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকাল পর্যন্ত ওই ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রেদওয়ানুল হক। একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় নির্বাচনের দুদিন আগে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মধ্যে- বেলগাছায় নৌকার প্রার্থী লিটন মিয়া, মোগলবাসায় নৌকার প্রার্থী এনামুল হক, হলোখানায় লাঙলের প্রার্থী রেজাউল করিম, ভোগডাঙ্গায় আনারস প্রতীকের সাইদুর রহমান ও ঘোগাদহে আনারসের আব্দুল মালেক সরকার জয়লাভ করেছেন।

সদরের পাঁচগাছীতে হাতপাখা প্রতীকে আব্দুল বাতেন সরকার জয়লাভ করেছেন। অপরদিকে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ছয় ইউনিয়নের চারটিতে নৌকার প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। নাওডাঙ্গায় নৌকা প্রতীকে হাসেন আলী, ফুলবাড়ীতে নৌকা প্রতীকে হারুন-অর-রশিদ, ভাঙ্গামোড়ে নৌকা প্রতীকে মোহাম্মদ আলী শেখ, বড়ভিটায় নৌকা প্রতীকে আতাউর রহমান মিন্টু, শিমুলবাড়ীতে মোটরসাইকেল প্রতীকে শরিফুল ইসলাম সোহেল এবং কাশিপুর ইউনিয়নের মোটরসাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মানিক জয়লাভ করেছেন।

জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানায় লাঙল প্রতীকে জালাল উদ্দিন, কেদারে লাঙল প্রতীকে ওয়াজিদুল কবির, কচাকাটায় লাঙল প্রতীকে সাহাদত হোসেন মন্ডল, হাসনাবাদে লাঙল প্রতীকে নুরুজ্জামান সরকার, সন্তোষপুরে নৌকা প্রতীকে লিয়াকত আলী লাকু, বেরুবাড়িতে নৌকা প্রতীকে মো. সোলায়মান আলী, নুনখাওয়ায় নৌকা প্রতীকে মো. আমিনুল ইসলাম, বামনডাঙ্গায় মোটরসাইকেল প্রতীকে আসাদুজ্জামান রনি, বল্লভেরখাসে চশমা প্রতীকে এস এম আব্দুর রাজ্জাক, রায়গঞ্জে আনারস প্রতীকে আরিফুজ্জামান, কালিগঞ্জে মোটরসাইকেল প্রতীকে রিয়াজুল হক প্রধান, ভিতরবন্দে আনারস প্রতীকে শফিউল আলম শফি এবং নারায়নপুর চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজয়ী হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে জেলার ২৭ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৩৬ প্রার্থী। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬১৬ এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৯২৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।