সেতু হলেই ভোট দেবেন গ্রামবাসী, অন্যথায় না

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে সয়ার ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের কালারঘাট এলাকায় বয়ে গেছে যমুনেশ্বরী নদী। প্রতিবছর চাঁদা তুলে বাঁশের সাকো বানিয়ে নদী পারাপার হয় ১০টি গ্রামের মানুষ। একটা সেতুর জন্য একাধিকবার আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি।

সরেজমিন দেখা গেছে, কালারঘাট গ্রামটি যমুনেশ্বরী নদী সংলগ্ন হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন নেই। দীর্ঘ ৫০ বছরেও সেখানে একটা নির্মাণ হয়নি। ফলে কালারঘাট এলাকার দুই পাশে শাহপাড়া, কাংলাচড়া, উজিয়াল, চারআনী, দোলাপাড়া, বুড়িরহাট, চিলাপাক ও চাকলাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

কালারঘাট গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবার ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন। কিন্তু ভোট শেষে কেউ আর আসেন না। এবার তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেতু তৈরি করে না দিলে ১০ গ্রামের মানুষ ভোট দিতেই যাবেন না। 

দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, নির্বাচনের সময় বড় বড় কথা বলে ভোট নেন। তারপর খবর নেওয়ার প্রায়োজনও মনে করেন না। এবারের এমপি নির্বাচনের আগে সেতু নির্মাণ করা না হলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন না।

সয়ার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল-ইবাদত হোসেন পাইলট বলেন, যমুনেশ্বরী নদীর কালারঘাটে সেতু নির্মাণের বিষয়ে অনেকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আহম্মেদ হায়দার জামান জানান, কালারঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এখনও বরাদ্দ মেলেনি। বরাদ্দ মিললে দ্রুত সেতু নির্মাণ করা হবে।