পাঁচ লাখের সরকারি বই ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি, তদন্তে কমিটি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি পুরাতন বই নামমাত্র মূল্যে বিক্রির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহাবুবুল আলমকে শোকজ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রোকসানা বেগম।

তদন্ত কমিটিতে সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মতিউল আলমকে প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন- সমাজ সেবা কর্মকর্তা মানিক রায় এবং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আরিফুর রহমান কনক। কমিটিকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি গোপন নিলামে সরকারি পুরাতন বই বিক্রির ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন। 

ইউএনও মোছা. রোকসানা বেগম জানান, বই বিক্রির ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহাবুবুল আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত ২৩ জানুয়ারি সাদুল্লাপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ভবনের স্টোর রুমসহ তিনটি গুদামে সংরক্ষিত ২০১৬ থেকে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের বিপুল পরিমাণের পুরাতন বই বিক্রির ঘটনা ঘটে। মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির মজুত থাকা বইগুলোর বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। কিন্তু গোপন নিলামে এসব বই অর্ধলাখ টাকায় বিক্রির অভিযোগ ওঠে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহাবুবুল আলমের বিরুদ্ধে। 

তবে বইগুলো নিলামে দেড় লাখ টাকায় ক্রয়ের দাবি করেন জেলা শহরের কাচারী বাজারের দিশা ট্রেডার্সের দুই ব্যবসায়ী। জানতে চাইলে শিক্ষা কর্মকর্তা এইচ এম মাহাবুবুল আলম নিলামে বইয়ের দাম কখনও সাড়ে ২৭ আবার কখনও ৫০ হাজার টাকার কথা বলায় রহস্যের সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, কোন সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন ছাড়াই অগোচরে বইগুলো বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা পকেটে ঢুকিয়েছেন এ শিক্ষা কর্মকর্তা।