হাসপাতাল থেকে সরকারি ৩০০ ইনজেকশন পাচারকালে নারী আটক

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগীদের জন্য বিনামূল্যে সরবরাহকৃত সরকারি ইনজেকশন পাচারের অভিযোগে এক নারীকে আটক করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) দুপুরে হাসপাতাল চত্বর থেকে ইনজেকশনসহ ওই নারীকে আটকের পর পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আটক নারীর নাম শাহেদা বেগম (৩৫)। তিনি সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামের ফজল মিয়ার স্ত্রী।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহেদা বেগম একটি ব্যাগ নিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ব্যাগ তল্লাশি করলে ব্যাগের ভেতর রোগীদের জন্য বিনামূল্যে সরবরাহকৃত বিভিন্ন প্রকারের তিন শতাধিক সরকারি ইনজেকশন পাওয়া যায়। পরে ওই নারীকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হাসপাতালের স্টোর থেকে ইনডোরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ইনচার্জ ও আউটডোর ইনচার্জদের কাছে তাদের দেওয়া চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও ইনজেকশন সরবরাহ করা হয়। ইনচার্জদের সম্পৃক্ততা ছাড়া এত পরিমাণ ইনজেকশন হাসপাতালের বাইরে যাওয়া সম্ভব নয়। এখানে অবশ্যই হাসপাতালের কর্মচারীদের একটি চক্র জড়িত রয়েছে।

ডা. শহিদুল্লাহ লিংকন বলেন, ওষুধ চুরি ও পাচারের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘হাসপাতালের কোনও কর্মচারী ওষুধ পাচারে জড়িত রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তার সঙ্গে আরও এক নারী এসব ওষুধ পাচারে জড়িত আছে বলে জানা গেছে। তবে সেই নারী পলাতক রয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।