পঞ্চগড়ে ভরা চৈত্রেও শীতের আমেজ

চৈত্রের আজ ১৯ দিন। দেশের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ এখন দাবদাহে অতিষ্ঠ। কিন্তু উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ব্যতিক্রমী আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত তিন দিন ধরে সূর্য উঁকি দিলেও অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। পাশাপাশি বয়ে যাচ্ছে শীতল হাওয়া। 

জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বিকালের পর থেকে তুলে রাখা গরম কাপড় পরে বের হচ্ছেন। লঘু চাপের প্রভাবে আবহাওয়ার এমন অবস্থা বলে মনে করছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা।

শনিবার (২ এপ্রিল) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন ২১ দশমিক ৯ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা শীতল হাওয়া বয়ে যাচ্ছে

জেলা শহরের মসজিদপাড়া এলাকার নূর আলম জানান, ‘চৈত্র মাসেও গত দুই দিন ধরে সকালে শীতকালের মতো কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সকালে ভালোই ঠান্ডা লাগছে।’

ডোকরোপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন জানান, ‘চৈত্র মাস পড়লেও দাপট নেই। দিনের বেলা কিছু সময় ফ্যান চালালেও রাতে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। শীতের কারণে কম্বল-চাদর গায়ে জড়াতে হচ্ছে।’

শীতকালের মতো কুয়াশা দেখা যাচ্ছে

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামীম জানান, বর্তমান যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে গম মাড়াইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হবে। তবে অন্য ফল ফসলের তেমন কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে দিনে শীতল বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকছে। বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টি হলে দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা স্বাভাব্কি হয়ে যাবে।