৪ মাস পর হিলি দিয়ে ভারত থেকে মটরশুঁটি আমদানি

দেশের বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মটরশুঁটি আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত মটরশুঁটি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বুধবার বিকালে বন্দর দিয়ে এ বছর প্রথমবারের মতো মটরশুঁটি আমদানি শুরু হয়। এদিন পিকআপে দুই টন ৬৮৮ কেজি মটরশুঁটি আমদানি করা হয়। ভারতের জগৎবাবা ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠান এসব মটরশুঁটি রফতানি করছে। যা হিলি স্থলবন্দরের মেসার্স খান ইন্টারন্যাশনাল আমদানি করছে। 

ভারতের আসালসোল অঞ্চল থেকে প্রতি টন ২০০ মার্কিন ডলারে মটরশুঁটি আমদানি করা হচ্ছে। যা কাস্টমসে ৪১০ মার্কিন ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। শুল্ক ও বন্দরের অন্যান্য খরচসহ ২৫ টাকা পড়ছে মটরশুঁটির কেজি। এর আগে গত নভেম্বর মাসে বন্দর দিয়ে মটরশুঁটি আমদানি করা হয়েছিল।

হিলি স্থলবন্দরের মটরশুঁটি আমদানিকারক হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাজারে দেশি মটরশুঁটির সরবরাহ কম থাকায় দাম তুলনামূলক বেশি। দেশের বাজারে ভারতীয় মটরশুঁটির চাহিদা রয়েছে। সামনে ঈদ ঘিরে মটরশুঁটির চাহিদার কথা মাথায় রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও আমদানি করা হচ্ছে। দেশি মটরশুঁটি পর্যাপ্ত পরিমাণ বাজারে উঠলে এবং সরবরাহ বাড়লে ভারতীয় মটরশুঁটির চাহিদা কমে যাবে। সেমসয় মটরশুঁটি আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে যতিদন চাহিদা থাকবে ততদিন মটরশুঁটি আমদানি করা হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আবারও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে মটরশুঁটি আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথমদিন দুই টন ৬৮৮ কেজি মটরশুঁটি আমদানি হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বাড়বে। আর মটরশুঁটি যেহেতু কাঁচামাল এবং দ্রুত পচনশীল তাই এটি যেন আমদানিকারকরা দ্রত খালাস করে নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি কোনও সমস্যা হবে না।’