৫ বছরেও সংস্কার হয়নি সেতু, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের চরভট গ্রামের সেতুটি পাঁচ বছর আগে বন্যায় হেলে পড়ে। আজও সংস্কার না হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পড়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট বন্যার পানির স্রোতে সেতুটি একদিকে হেলে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তারপরও মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত সেতুটি সংস্কার হয়নি। বর্তমানে সেতুর সঙ্গে সংযোগ না থাকায় বিকল্প পথে চলাচল করছে পথচারীরা।

গ্রামের বাসিন্দা জিয়া, আইয়ব, আজগার আলী জানান, ‌‘আমাদের নেকবক্ত গ্রামের মানুষের উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এই সড়ক। আর এই সড়কের ওপর ত্রাণের টাকা সেতু নির্মাণ হয় ২০১৭ সালে। সে সময় বন্যার পানিতে সেতুটি হেলে পড়লে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়ক ও সেতুটি চলাচল উপযোগী করতে এলাকাবাসীর সাহায্য সহযোগিতায় বালুর বস্তা ফেলে ও বাঁশের সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই বালুর বস্তাও গতবারের বন্যায় নষ্ট হয়ে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।

তারা বলেন, বর্তমান বাঁশের সাঁকোটিও নেই। তারা বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে বিকল্প পথে দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করেন। এই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস। এতে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে প্রচুর। বিশেষ করে বর্ষা এলেই উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল জানান, সেতুটি হেলে পড়ার দিনই তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল হক প্রধান ও প্রকৌশলী হারুন অর রশীদকে জানানো হয়েছিল। সেই সময় তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু চার বছর হয়ে গেলেও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

জলঢাকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ময়নুল হক বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ত্রাণের ১২ লাখ টাকায় সেতুটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু চালু হয় ২০১৭ সালের মে মাসে। সেই সময় বন্যার পানিতে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছিল। তবে এর কোনও প্রতিকার পাওয়া যায়নি।