হিলি দিয়ে আবারও পুরনো এলসির বিপরীতে গম রফতানি বন্ধ

নিজ দেশে দাম স্থিতিশীল রাখতে গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার। তবে পুরনো এলসির বিপরীতে রফতানির কথা বললেও আবারও বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কাস্টমস। রফতানি বন্ধের খবরে গমের দাম বেড়ে চলছে। ৩৪ টাকা থেকে বেড়ে বর্তমানে ৪১-৪২ টাকায় উঠেছে দাম।

সোমবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গম এলেও পরিমাণ ছিল খুবই কম। আগে টেন্ডারকৃত শনিবার আসা গমের বাকি কিছু সোমবার পাঠিয়েছে ভারতীয় কাস্টমস। এসব তথ্য জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গম আমদানিকারক রবিউল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দর থেকে গম কিনে দেশের বিভিন্ন মিলে সরবরাহ করে আসছিলাম। গত বৃহস্পতিবার বন্দর থেকে যে গমের কেজি ৩৪ টাকা কিনেছিলাম আজ সে গম ৪১-৪২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আমরা যেসব মিলারকে গম সরবরাহ করি তারাও দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।’

হিলি স্থলবন্দরের গম আমদানিকারক হায়াৎ মোহাম্মদ শেরেগুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে ইউক্রেন-রাশিয়া থেকে গম আমদানি করে চাহিদা মেটালেও যুদ্ধের কারণে এখন আমদানি বন্ধ। ফলে দেশের বাজারের ফ্লাওয়ার মিলগুলোতে গমের চাহিদা মেটাতে বেশ কিছুদিন ধরে ভারত থেকে গম আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু দেশের চাহিদা মেটাতে ও দাম স্থিতিশীল রাখতে শনিবার থেকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গম রফতানি বন্ধ করে দেয়। তবে গত ১২ মে পর্যন্ত যেসব গমের এলসি দেওয়া হয়েছিল সেগুলো রফতানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবার দুপুরের পর থেকে গম রফতানি করেছিল। কিন্তু হঠাৎ সোমবার থেকে আবারও ভারতীয় কাস্টমস নতুন করে কোনও টেন্ডার গ্রহণ করছে না। ফলে বন্দর দিয়ে গম আসছে না। শনিবার যেসব এলসির গম বাংলাদেশে ঢুকেছিল সেগুলোর কিছু বাকি ছিল। সেসব গম ভারতীয় কাস্টমস আজ রফতানি করেছে। কিন্তু পুরনো এলসির বিপরীতে নতুন করে টেন্ডার হওয়া বা টেন্ডার হবে সে গমগুলো ভারতীয় কাস্টমস আটকে রেখেছে। তারা আমাদের জানিয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসার পরই এসব গম রফতানি করা হবে। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। নতুন করে এলসি না নিলেও গত ১২ মে পর্যন্ত যেসব গমের এলসি হয়েছিল সেগুলো রফতানি করার দাবি জানাচ্ছি আমরা।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দর দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গম আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে শনিবার বন্দর দিয়ে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গম আমদানি বন্ধ ছিল। দুপুরের পর থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়। সেদিন বন্দর দিয়ে এক হাজার ৯২৩ টন আমদানি হয়েছিল। রবিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধের পর সোমবার থেকে পুনরায় আমদানি হচ্ছে। তবে আমদানির পরিমাণ কমেছে। আজ বন্দর দিয়ে ছয় ট্রাক গম আমদানি হয়েছে। এসব গম যাতে দ্রুত খালাস করে আমদানিকারকদের সরবরাহ করা যায়, সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।’