টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা হত্যার হুমকির শামিল: মির্জা ফখরুল

পদ্মা সেতুর বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করা মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেওয়ার শামিল। ক্ষমতার সর্বোচ্চ আসনে বসে এ ধরনের বক্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।’ 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

খালেদাকে পদ্মায় ফেলতে আর ইউনূসকে চুবিয়ে তুলতে বললেন শেখ হাসিনা

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ ধরনের কথায় আমরা ক্ষুব্ধ, মর্মাহত ও বিস্মিত। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা একজন প্রধানমন্ত্রীর থেকে এ ধরনের অরাজনৈতিক ও অশালীন বক্তব্য আশা করি না। উনি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শিষ্টাচারবহির্ভূতভাবে আক্রমণ করেন, যা অচিন্তনীয়।’

এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় কিনা বিএনপি তা খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি। 

আগামী নির্বাচন বানচালে বিদেশিদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি, আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দুটো নির্বাচনকে লুট করেছে। আর অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশি ও বিদেশিদের সঙ্গে আঁতাত করছে।’ এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব ১/১১-এর অবৈধ সরকারকে বৈধতা দেওয়া এবং সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দেশের নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন সরকারের সহায়তা চাওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

আলেমদের কার্যক্রমে সরকারের গণকমিশন গঠনকে এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে আরেকটি চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব। 

তিনি বলেন, ‘এভাবেই সরকার দেশে ধর্মীয় বিষয়ে জনসাধারণের মতামত ও অবস্থানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, পরিবহন শ্রমিক নেতা দানেশ আলী, হাসান আলী প্রমুখ।