হত্যার ১৩ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে একটি হত্যা মামলায় তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৩ মে) বিকালে দিনাজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে-(২)  বিচারক মেহেদী হাসান মন্ডল এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের সহকারী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন শরীফুল ইসলাম (৪৩), আজাহার আলীর ছেলে রেজাউল করিম বাবু (৪৮) ও আজিজ সিদ্দীকির ছেলে আতোয়ার ওরফে আতর আলী (৫১)। 

এছাড়া আতোয়ার আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী (৪৪) ও একরামুল হক (৫১), মৃত: সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সাঈদ আলী (৫৮) ও ইদ্রীস আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর এক ধারায় আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

আদালতের সহকারী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল বলেন, মামলায় বাদীসহ ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামিদের মধ্যে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আমরা অত্যন্ত খুশি। 

তিনি আরও বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে জয়নগর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হুমায়ুনকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালে ফুলবাড়ী উপজেলার গরপিংলাই গ্রামের সাইফুল ইসলাম তার জমিজমা বড় ভাই শহীদুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম বাবু ও হুমায়ুন কবীরের নামে লিখে দেন। কিছু দিন পর হুমায়ুন কবীর তার মুদি দোকান থেকে বের হয়ে জয়নগর বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপরে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরের দিন এমআইবি নামক ইটভাটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। মরদেহ উদ্ধারের দিনই নিহতের বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ওই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই হুমায়ুন কবীরকে হত্যা করেন আসামিরা। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ঘটনার দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালত রায় দিলো।