ইউএনওকে হত্যাচেষ্টা: সাক্ষী দিতে ২ তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব 

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলার সাক্ষ্যপর্ব প্রায় শেষের দিকে। আগামী ৩০ মে মামলার দুই তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে সমনজারি করা হয়েছে। এই দুই জনের সাক্ষ্য শেষে যুক্তিতর্ক শুরু হবে এবং যুক্তিতর্কের পর রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ হবে। 

দিনাজপুর আদালত পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ৩০ মে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমনজারি করেছেন আদালত। একইদিনে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া কর্মকর্তাকেও আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে। এই দুই জনের সাক্ষ্য শেষে চাঞ্চল্যকর মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে।

আসামি রবিউল ইসলাম পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মামলার ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ঘোড়াঘাট থানার পরিদর্শক তদন্ত মমিনুল ইসলাম ও অভিযোগপত্র দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ডিবি পুলিশ পরিদর্শক জাফর ইমামের সাক্ষ্য গ্রহণ হলেই মামলার সাক্ষ্য পর্ব শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর দিবাগত মধ্যরাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদের কর্মচারী রবিউল ইসলাম (৩৫), তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। পরে হাতুড়ি দিয়ে ওয়াহেদা খানম ও তার বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওয়াহেদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ উদ্দীন শেখ বাদী হয়ে পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলা ডিবিতে স্থানান্তর হয়। ওই মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্ত রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। মামলার একমাত্র আসামি রবিউল ইসলাম দিনাজপুর জেলা কারাগারে রয়েছে।