ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ, ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি

দিনাজপুরের কয়েকটি এলাকায় আকস্মিক ঝড়ে গাছপালা ও ব্যাপক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঝড় হয়। ঝড়ে দিনাজপুর পৌর শহরের রাজবাটী, হীরাবাগান, মাতাসাগর ও সুইহারীসহ বেশ কিছু এলাকার গাছ ভেঙে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঝড়ে দিনাজপুর সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রাস্তায় গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাজবাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় ৫০ বছর বয়সী একটি বটগাছ শিকড়সহ উপড়ে গেছে। এছাড়া রাজবাড়ী মন্দিরের সামনে একটি বট ও পাকুড় গাছের ডালপালা ভেঙে গেছে। ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে বেশকিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

এদিকে, খানসামা উপজেলায় ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। ভেঙে গেছে পাকা বাড়ির দেয়ালসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি। উপজেলার বুড়ির বাজারে দুটি বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে পড়েছে। ঝড়ের কারণে ওসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনকে মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে।

ঝড়ের কবলে পড়ে কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেসকো লিমিটেডের দিনাজপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফজলুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ের কারণে আমাদের পাঁচটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। প্রায় সব এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন কাজ করছেন, এখনও অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ নেই। তবে রাতের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। তখন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

নেসকোর দিনাজপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শাহাদত হোসেন বলেন, ‘আমার গ্রিডের ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। তবে বৈদ্যুতিক পোলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‌‘ঝড়ে আমাদের ১০টি কাঠের খুঁটি ভেঙে গেছে। গাছের ডাল পড়ে বেশ কিছু তার ছিঁড়ে গেছে। ঠিকাদারদের মাধ্যমে সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এর মধ্যে খানসামা উপজেলায় ভেঙেছে চারটি খুঁটি। মেরামত কাজ শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’