পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে লাগানো ব্যানার ছেঁড়ায় বিক্ষোভ

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মিত অস্থায়ী গেটে লাগানো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পদ্মা সেতুর ছবি সংবলিত বিশাল ব্যানার রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শুক্রবার (২৪ জুন) দুপুরে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দেড় ঘণ্টার অবরোধ চলাকালে দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। এই উপলক্ষে বিভাগীয় নগরী রংপুরের প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড় এলাকায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতুর ছবি সংবলিত বিশাল ব্যানার লাগানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনা জানাজানি হলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আজ দুপুর ২টা রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলের নেতৃত্বে মডার্ন মোড় এলাকায় বিক্ষোভ করেন দলের নেতাকর্মীরা। তারা ঢাকা-রংপুর  মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, তাজহাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমাদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া আলম শিপলু, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আসিফ হোসেন, সহ-সভাপতি নয়ন মাহমুদ বিপ্লব, সহ-সম্পাদক রিপন মিয়া সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

তারা অভিযোগ করেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে সারা দেশে নানা আয়োজন চলছে। রংপুর জেলা পরিষদের সৌজন্যে নগরীর মডার্ন মোড় ব্রিজের কাছে একটি শামিয়ানা দিয়ে বিশাল একটি গেট নির্মাণ করা হয় এবং এর দুই পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পদ্মা সেতুর  ছবি টানানো হয়। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা তা সহ্য করতে না পেরে রাতের আঁধারে প্রধানমন্ত্রীর ছবির মুখের অংশ ছিঁড়ে ফেলে। তারা এ ঘটনার জন্য বিএনপি ও জামায়াত চক্রকে দায়ী করে তাদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করার আল্টিমেটাম দেন।

অবরোধ চলাকালে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফুল ইসলাম, তাজহাট থানার ওসি নাজমুল কাদেরসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতের মধ্যে দায়ীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। পরে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। পড়ে ওই গেটে বিকাল ৪টার দিকে আবারও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত ব্যানার লাগানো হয়।

এ বিষয়ে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল দাবি করেন, বিএনপি-জামায়াত প্রথম থেকে পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করে আসছে। তারা কল্পনাও করেনি পদ্মা সেতু দেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হবে। এই খুশির সময়ে বিএনপি-জামায়াতের দুষ্কৃতিকারীরা রাতের আঁধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে। আমরা রাতের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।

রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) মারুফুল ইসলাম বলেন, আমরা দায়ীদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য ইতিমধ্যে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করা হয়েছে