৭ দিন বন্ধের পর হিলি দিয়ে গম আমদানি শুরু

টানা সাত দিন বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আবারও পুরনো এলসির বিপরীতে ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে গমবাহী ট্রাক আটকে থাকায় মান নষ্ট হয়ে লোকশানের শঙ্কা করছেন আমদানিকারকরা। 

ভারতের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল ঠাকুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ১৩ মে থেকে উন্মুক্তভাবে বাংলাদেশে গম রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (ডিজিএফটি) ১২ মের মধ্যে হওয়া এলসিগুলো যাচাই-বাছাই করে যাদের অনুমোদন দিচ্ছেন শুধুমাত্র তাদের গম রফতানি করা হচ্ছে। অনুমোদন না পাওয়ায় কয়েকদিন গম রফতানি বন্ধ ছিল। তবে নতুন করে আবারও অনুমতি দেওয়ায় বুধবার (২৯ জুন) ১৬ ট্রাকে ৬১২ টন গম বাংলাদেশে রফতানি হয়েছে। আরও কিছু গমের অনুমোদন রয়েছে, যা আজ বৃহস্পতিবার রফতানি করা হবে।’

হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘নিজ দেশে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৩ মে থেকে গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। ফলে এরপর থেকে বন্দর দিয়ে গম রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে ভারতে আটকা পড়ে বেশকিছু আমদানিকারকের বিপুল পরিমাণ গম। পরে কয়েক দফা বন্ধ ও চালু করে আগের টেন্ডারকৃত গম রফতানি করে ভারত। ১২ মে পর্যন্ত হওয়া এলসির সব গম রফতানির আশ্বাস দিলেও কয়েকদিন বন্ধের পর অনুমোদন সাপেক্ষে কিছু গম রফতানি করছে দেশটি। অনুমতি না দেওয়ায় গত সাত দিন ধরে গম আমদানি বন্ধ ছিল। পরে আবারও অনুমতি মেলায় গতকাল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে সর্বশেষ গত ২২ জুন পাঁচটি ট্রাকে ২শ’ টন গম আমদানি হয়েছিল। এর পর থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। সাত দিন পর গতকাল বুধবার ভারত থেকে ১৬টি ট্রাকে ৬১২ টন গম আমদানি হয়েছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ বাড়ার পাশাপাশি বন্দর কর্তপক্ষের দৈনন্দিন আয় বাড়বে। একইসঙ্গে কাজ বাড়ায় বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় বাড়বে।’