সরকারি হাসপাতালে ঢুকে নিয়ে গেলো ১৪ লাখ টাকা

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জানলার গ্রিল ভেঙে ১৪ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ লাখ টাকা চুরি হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছে।

তবে ঠিক কত টাকা চুরি হয়েছে সেটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করতে পারেনি। তবে সিভিল সার্জন ও পুলিশ জানিয়েছে, ১৪ লাখ টাকা চুরি হয়েছে।

জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাতের কোনও একসময় হাসপাতালের প্রধান সহকারীর কক্ষে এই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা হাসপাতালের প্রধান সহকারীর কক্ষের পেছনের দিকের জানালার গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ওই কক্ষের স্টিলের আলমারির ও টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে কাগজপত্র তছনছ করে দেয়। এ সময় আলমারিতে থাকা ১৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. সৌভিক কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তিনি কোনও তথ্য দিতে চাননি।

চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. বোরহান-উল ইসলাম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের চুরির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাসপাতাল থেকে ১৪ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। বিভিন্ন বিল বাবদ সেই টাকাগুলো ছিল। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এই চুরির ঘটনার সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও কর্মকর্তা বা কর্মচারীর গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চুরির ঘটনার পর তদন্ত কাজ শুরু করেছে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ। ওসি বজলুর রশিদ বলেন, ‘চুরির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেছি। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে শুনেছি, ১৪ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। লিখিত অভিযোগ এলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’