বুয়েট-মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেলেন এক কলেজের ৫৫ শিক্ষার্থী

মেডিক্যাল কলেজ (এমবিবিএস কোর্স) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৫৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এমবিবিএসে ৩৯ ও বুয়েটে ১৬ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। 

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৯ শিক্ষার্থী হলেন—সাদিয়া পুষ্পিতা, বিসমে জান্নাত হিয়া, ওসওয়াতুন হাসানা, নাবিল ও সঙ্গী, জিনাত রেহেনা ইমু, আফিয়া হুমায়রা, ফারহানা ইসলাম স্মৃতি, মাহমুদুল হাসান মাহিন, নাহিদ হাসান রিদম, নুসরাত জাহান, মিনহাজুল ইসলাম, হামজা ও রিশাদ।

একই কলেজ থেকে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬ শিক্ষার্থী বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে বুয়েটের ২০২১-২২ ব্যাচের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের ১৬ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এরমধ্যে নাহিদ হোসেন রিদম মেধা তালিকায় পঞ্চম স্থান অর্জন করেছেন। বাকিদের মধ্যে একজন মেয়ে ও ১৫ জন ছেলে।

আরও পড়ুন: বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেলেন এক কলেজের ১৬ শিক্ষার্থী

১৬ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাহিদ হোসেন রিদম পঞ্চম হয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, সঞ্জয় কুমার সেন ১৬১তম হয়ে তড়িৎ ও বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে, ইমন ইসলাম ৪৪৪তম হয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, আরাফাত আফ্রিদি রোমান ৫২৬তম হয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, আবু সায়েম ৫৩০তম হয়ে মেকানিক্যালে, আরিফ শাহরিয়ার সজীব ৫৭০তম হয়ে মেকানিক্যালে, তাহমিদ আহমেদ তনয় ৬৩৯ হয়ে মেকানিক্যাল বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বুয়েট-মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের কয়েকজন

অপরদিকে, মাহমুদুল হাসান ৬৪০তম হয়ে মেকানিক্যালে, মাহবুব ইসলাম ৭৬২তম হয়ে সিভিলে, গোলাম আজম ৭৬৬তম হয়ে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে, নবদ্বীপ চন্দ্র রায় ৮০৮তম হয়ে সিভিলে, এস এম সিয়াম মাহিম ৯৫৩তম হয়ে শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশলে, সুদীপ্ত চন্দ্র রায় ৯৮৯তম হয়ে কেমিক্যালে, এমএএইচকে লাবিব ১০৮৬তম হয়ে বস্তু ও ধাতব প্রকৌশলে, শামসুজ্জামান সাফিন ১১১৬তম হয়ে বস্তু ও ধাতব প্রকৌশলে ও জাকিয়া সুলতানা জীম ১২০৩তম হয়ে নেভাল আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান।

বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নাহিদ হোসেন রিদম বলেন, ‘আমাদের কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক আন্তরিক। আমি শিক্ষকদের মানবিক আচরণে মুগ্ধ। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের এই অর্জন। আমি স্যারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

বুয়েট-মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের কয়েকজন

কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, ‘সৈয়দপুর শহরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় বর্তমানে বিজ্ঞান কলেজ। এই কলেজ থেকে বরাবরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড সেরা ফলাফল করে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যালসহ অন্যান্য উচ্চতর পাবলিক পরীক্ষাতেও এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দেশসেরা মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।’

উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে দেশের চারটি শিল্পাঞ্চলে টেকনিক্যাল স্কুল গড়ে ওঠে। দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার সুবাদে এখানেও গড়ে ওঠে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজে উন্নীত হয়। কলেজের আগে নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে কলেজের নাম রাখে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ।