অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৫

রংপুর নগরীর মাহিগজ্ঞ এলাকার সরেয়ারতল নামক স্থানে বালুবাহী ট্রাক সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেওয়ার ঘটনায় আহতদের হাসপাতালের নেওয়ার পর আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় জনে।

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে সরেয়ারতল এলাকায় পীরগাছা থেকে আসা মালবাহী ট্রাক রংপুর থেকে পীরগাছাগামী অটোরিকশাটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই এক নারীসহ দুই অটোরিকশার যাত্রী নিহত হন। এ সময় আহত হন ছয় জন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেন। আহত ছয় জনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। বাকি আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তারা হলেন- অটোরিকশাচালক রাজা মিয়া (৩০) ও জান্নাতুল মাওয়া (৫)। বাকি তিন জনের পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক আফছার আলী বলেন, ‘ট্রাক চালকের এক হাতে সিগারেট ও অন্য হাতে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর কারণে নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় অটোরিকশাকে চাপা দিলে দুমড়েমুচড়ে যায়। হাতে মোবাইল না থাকলে অটোরিকশাটিকে রক্ষা করতে পারতো চালক।’

এদিকে, নিহত অটোচালক রাজা মিয়ার স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

রংপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আহত ছয় জনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। পরে শুনেছি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হলেন।’

মাহিগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘অটোচালক রাজা মিয়া ও পাঁচ বছরের শিশু জান্নাতুল মাওয়ার পরিচয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। বাকি তিন জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। তবে তাদের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’

ওসি বলেন, ‌‘ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে আটক করা হবে।’