সুজি-চিনি-রং মিশিয়ে গুড় তৈরি, পাত্রে মরা কাঠবিড়ালি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার খালাসপীর এলাকায় সুজি, চিনি, রং ও ক্ষতিকর হাইড্রোজ দিয়ে একটি কারখানায় গুড় তৈরি করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ ঘটনায় মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ অভিযান চালানো হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রংপুরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, খালাসপীর এলাকায় বকুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি সুজি, চিনি, রং ও ক্ষতিকর হাইড্রোজ দিয়ে গুড় তৈরি করে রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছিল। খবর পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশের সহায়তায় ওই কারখানায় অভিযান চালানো হয়। 

আফসানা পারভীন বলেন, ‘সুজি, চিনি, রং ও ক্ষতিকর হাইড্রোজ দিয়ে এমনভাবে গুড় তৈরি করা হচ্ছিল, দেখে আসল গুড় মনে হবে সবার। এভাবে গুড় তৈরি করে মানুষকে প্রতারিত করে আসছিল বকুল মিয়া। এসব গুড় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। গুড়ের পাত্রে মরা কাঠবিড়ালি পড়েছিল। গুড় তৈরির সব মালামাল ধ্বংস করা হয়। সেইসঙ্গে মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অভিযান চালানোর সময় মনে হয়েছে বাজারে যেসব গুড় পাওয়া যাচ্ছে তার অধিকাংশই ভেজাল। গুড়ের নামে আমরা কি খাচ্ছি? মানুষ কতটা অমানবিক হলে এমন কাজ করতে পারে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’