প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

নীলফামারীর ডোমারে একটি বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রসেনজিৎ কুমার রায় (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিক্ষার্থী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের বড়গাছা বানিয়াপাড়ার পুসুনাথ রায়ের ছেলে ও উত্তর চওড়া বড়গাছা কলেজের এইচএসসির শিক্ষার্থী।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ওই ইউনিয়নের বড়গাছা সাহেবভিলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের মামা সুভাষ চন্দ্র জানান, শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে সে আর ফিরে আসেনি। রাতে এলাকায় ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মেলেনি। শনিবার বেলা ১১টার দিকে খবর আসে, বাড়ির পাশে ওই স্কুল ঘরে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

নিহতের চাচাতো ভাই উত্তম কুমার বলেন, ‘সকালে বানিয়াপাড়ার সন্ন্যাসী মন্দিরে প্রসাদ খেয়ে স্কুলে পানি পানের জন্য এলে সঙ্গে থাকা সুভাষ জানায়, স্কুলের ভেতর একজন ঝুলে আছে। দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে দেখি, আমার ভাই প্রসেনজিৎ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে রয়েছে। আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে জাপটে ধরে ওপরের দিকে তুলি। এ সময় আমার চাচাতো ভাই সুভাষ কাচি দা দিয়ে দড়ি কেটে দিলে তাকে নিচে নামাই।’

ডোমার থানার এসআই ঠাকুরদাস দাস বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’