শুল্ক কমানোয় বন্দর থেকে ১২০০ টন চাল খালাস

শুল্ক কমানোর সুযোগ নিতে আমদানির পরেও হিলি বন্দর থেকে চাল খালাস করছিলেন না ব্যবসায়ীরা। এতে বন্দরে প্রায় ১৩ হাজার টনের বেশি চাল আটকে পড়ে। অবশেষে শুল্ক অব্যাহতির পর বন্দর থেকে চাল খালাসের কাজ শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার প্রথম দিনেই ৩০টি ট্রাকে ১২০০ টন চাল খালাস করেছেন তারা।  

হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক দিনেশ পোদ্দার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমদানি শুল্ক ৬২.৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২৫ ভাগ ও আমদানির অনুমতি দেওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে স্থলবন্দর দিয়ে আমরা ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু করি। কিন্তু ভারতে চালের দাম বাড়ায় ও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চালের উপর নির্ধারিত শুল্ক পরিশোধ করে বাজারে দেশীয় চালের চেয়ে আমদানি করা চালের দাম বেশি পড়ছিল। এ কারণে বেচাকেনা না থাকায় চাল আমদানি করে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। এ অবস্থায় দেশের বাজারে চালের সররবাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রনে রাখতে আরও শুল্ক ছাড়ের আশায় বন্দর থেকে আমরা চাল খালাস নেওয়া বন্ধ রেখেছিলাম। এর প্রেক্ষিতে গত রবিবার রাতে চালের আমদানি শুল্ক সবমিলিয়ে ২৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৫ ভাগ নির্ধারণ করে সরকার। এর ফলে মঙ্গলবার থেকে আটকে থাকা চাল খালাস শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। 

হিলি বন্দরে আটকা ৯ হাজার টন চাল

তিনি আরও জানান, শুল্ক কমানোয় বন্দর দিয়ে আগের চেয়ে চালের আমদানি যেমন বাড়বে তেমনি এসব চাল বাজারে প্রবেশ করলে কেজি প্রতি ৩-৫ টাকা দাম কমে আসবে। 

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও আমদানিকারকরা চাল খালাস নেওয়া বন্ধ রেখেছিলেন।  এতে করে বন্দরে বিপুল পরিমান চাল আটকে পণ্যজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার থেকে আটকে থাকা এসব চাল খালাস শুরু হয়েছে। প্রথম দিন ৩০টি ট্রাকে ১২০০ টন চাল খালাস হয়েছে। এখনও বন্দরে ২৯৮টি ট্রাকে প্রায় ১২ হাজার টন চাল আটকে রয়েছে বলে জানান তিনি।