চুরির অভিযোগে কিশোরকে পিলারে বেঁধে মারধর

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিলারের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। কিশোরকে নির্যাতনের পাঁচ মিনিট সাত সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ নির্যাতনকারী দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ২নং পালশা ইউপির ডুগডুগিহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

আটক দুজন হলেন- দেওগ্রাম এলাকার বাসিন্দ আলম মিয়া (৬২) ও আলম হোসেন (৬৫)। তারা ডুগডুগিহাট বাজারের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর দুই হাত পেছনে নিয়ে পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। দুজন ব্যক্তি হাতে লাঠি নিয়ে তাকে মারধর করছেন। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর বারবার বলছে, ‘মুই আর চুরি করুম না, মোক মাফ করে দেও’। তারপরও তাকে মারধর করেন। এ সময় চুল ধরেও তাকে চড়-থাপ্পড়ও মারা হয়।  

স্থানীয়রা জানান, ডুগডুগিহাট বাজারের হাবিবুর রহমানের মুদিখানার দোকানের শাটার ভেঙে একজন ভেতরে প্রবেশ করেন। দোকানের শাটার কিছুটা ফাঁকা হয়ে থাকায় বাজারে থাকা নিপাপত্তা প্রহরীদের সন্দেহ হয়। পরে প্রহরীরা দোকান মালিককে খবর দেন। খবর পেয়ে দোকান মালিক দোকানের শাটার খুলে দেখেন এক কিশোর তার দোকান ঘরের ওপরে থাকা বাঁশের ওপরে বসে আছে। এ ছাড়াও তার দোকানের ড্রয়ারে কোনও টাকা নেই। পরে নিরাপত্তা প্রহরীরা ওই কিশোরকে বারান্দার পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং মারধর করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আবু হাসান কবির বলেন, চুরির অপরাধে ওই কিশোরকে ধরার পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করার কথা। তবে তারা পুলিশকে খবর না দিয়ে নিজেরাই ওই কিশোরকে নির্যাতন করে। যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থি। এই ঘটনায় আমরা দুজনকে আটক করেছি। নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাবাকে মামলার জন্য বলা হয়েছে, তিনি মামলা না করলে আমরা নিজেরাই বাদী হয়ে মামলা করবো। আটক ব্যক্তিদেরকে বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হবে।