নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, বন্ধ হলো পরীক্ষা  

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার উত্তর ভোগডাবুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি পদে নিয়োগে মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অফিস সহায়ক, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ওই তিন পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ সম্পন্ন করতে জেলা শহরে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে অন্য প্রার্থীরা তা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

প্রার্থীরা বলছেন প্রধান শিক্ষক প্রায় ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে অফিস সহায়ক পদে জাহিদুলের ছেলে শাহিন ইসলাম, আয়া পদে আরমিনের স্ত্রী রুমি আক্তার ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে আব্দুল করিমের ছেলে শিমুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটি গোপনে জেলা শহরে নেওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্ত স্থানীয়দের তোপের মুখে শেষ রক্ষা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, এক মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষক অবসরে চলে যাবেন। তাই সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে শেষ সুযোগ নিতে জেলা শহরে নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ জুলাই ওই তিন পদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞাপন দেয়। ১১ আগস্ট আবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। তবে কোন পেপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, আবেদন জমার শেষ তারিখ কবে শেষ হয়েছে, তা স্থানীয়ভাবে কেউ জানেন না। সবকিছু গোপন রেখে পছন্দের প্রার্থীদের তা জানিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং বিদ্যালয় সংলগ্ন মুক্তিরহাটে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। এছাড়াও স্কুলের নোটিশ বোর্ডে তা টানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে আসলে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকেরিনা বেগম বলেন, স্থানীয়দের এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।