এক অফিস সহকারীকে বাধ্যতামূলক অবসর

হাট-বাজার ইজারার টাকা এবং দরপত্র বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সেকেন্দার আলীকে গুরুদণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অফিস সহকারী সেকেন্দার আলী সর্বশেষ চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ২২ নভেম্বর আদেশ জারির দিন থেকে তার বাধ্যতামূলক অবসর কার্যকর হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। সেকেন্দার আলীর পৈতৃক নিবাস কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মচারী সেকেন্দার আলী ২০১৭ সালে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরিরত অবস্থায় ১৪২৫ ও ১৪২৫ বঙ্গাব্দে (২০১৭ এবং ২০১৮ সালে) হাট ইজারা ও শিডিউল বিক্রির আদায় করা টাকা থেকে ২৪ লাখ ৮৭ হাজার ২৬৪ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। এ নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং বিভাগীয় মামলার ব্যক্তিগত শুনানিতে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগ তদন্তে বিধি অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে উল্লেখিত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না করে আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী বিধিমালা (শৃঙ্খলা ও আপিল) ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় একই বিধিমালা ৪ (৩) (খ) অনুযায়ী গুরুদণ্ড হিসেবে আদেশ জারির তারিখ থেকে তাকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে ওই কর্মচারীর আত্মসাৎ করা অর্থ, তার আনুতোষিক ও অন্যান্য দাবি করা অর্থ থেকে সমন্বয় পূর্বক সরকারি কোষাগারে জমা করার আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং এ আদেশ তার চাকরি বইয়ে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চিলমারীর ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই আদেশ কার্যকর হয়েছে।’