গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বুধবার, কেন্দ্রে যাচ্ছে সরঞ্জাম

গাইবান্ধা-৫ আসনের পুনর্ঘোষিত উপনির্বাচন বুধবার (০৪ জানুয়ারি)। এদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। ১৪৫টি কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) নির্বাচনি সরঞ্জামাদি।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুর থেকে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে এসব সরঞ্জাম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় সরঞ্জাম নিয়ে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। 

গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার ১৪৫টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮৮টি কেন্দ্র রয়েছে সাঘাটা উপজেলায় এবং ৫৭টি কেন্দ্র রয়েছে ফুলছড়ি উপজেলায়। 

নির্বাচনে পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে সক্রিয় আওয়ামী লীগের মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা) ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী (জাপা) এ এইচ এম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল)। ভোটের মাঠে প্রচারণায় দেখা যায়নি বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে (ট্রাক)। এদিকে গত ২৫ ডিসেম্বর অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। 

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘ভোটগ্রহণের জন্য কেন্দ্রগুলোতে ইভিএমসহ প্রয়োজনীয় মালামাল বিতরণ করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার সদস্যের নিরাপত্তার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরা, যা পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।’

নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানোর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের নিয়ে ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সবাইকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভোটের মাঠে বিজিবি, র‍্যাবের মোবাইল টিম, পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।’

গেলো বছরের ২৩ জুলাই সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটগ্রহণ চলাকালে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এরপর ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে ১১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয় ইসি। কমিশনের সিদ্ধান্তে ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।