রংপুর মেডিক্যালে বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

‘যারা রোগীদের সেবা দিতে পারবে না, তাদেরকে হাসপাতালে রাখবো না’

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কথা আমাদের কানে এসেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এই হাসপাতালে আগামীতে আর সিন্ডিকেট থাকবে না। মানুষের সেবার জন্য হাসপাতাল। আমরা সেই সেবা নিশ্চিত করতে চাই। যারা রোগীদের সেবা দিতে পারবে না, তাদের এই হাসপাতালে আমরা রাখবো না। আমরা চাই, হাসপাতালটি ভালোভাবে চলুক, ভালো সেবা পাক রোগীরা। সিন্ডিকেটে জড়িতদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।’ 

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। 

এ সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই হাসপাতালে রোগীদের খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো দেওয়া হয় না। বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আসার কারণে হাসপাতাল কিছুটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। কিন্তু আরও পরিচ্ছন্নতা দরকার। এটি একটি পুরোনো হাসপাতাল। মেরামত ও সংস্কারেরও প্রয়োজন আছে। আগামীতে তা হবে বলে আশা করছি।’

হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালে অনেক পরিবর্তন এনেছি আমরা। এতদিন যারা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, তাদের বদলি করা হয়েছে। আগামীতে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা ভালো দেখতে পারবেন। দালালদের হাত থেকে হাসপাতাল রক্ষা পাবে। দালারদের যেন দৌরাত্ম্য না থাকে, আস্তে আস্তে সেই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। যারাই হাসপাতালের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে, রোগীদের জিম্মি করে ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের হাসপাতালে রাখা হবে না। এখানে মানুষ যেন কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করা হবে।’

রংপুর হলো প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের এলাকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য রংপুরের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের বিশেষ নজর আছে। আমিও চাই, রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভালোভাবে চলুক, এখানে মানুষ ভালো সেবা পাক। হাসপাতালে এক হাজারের বেশি শয্যা আছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। এরপরও কেন মানুষ সেবা পায় না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এলাম।’

এর আগে শহরের পুরনো সদর হাসপাতাল চত্বরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই হাসপাতালটি কিছুদিন আগে নির্মিত হয়েছে। এই হাসপাতালের কাজ শেষ হওয়ার পর কোভিড দেখা দিয়েছিল দেশে। গত দুই বছর এই হাসপাতালে কোভিডের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন মা ও শিশুদের চিকিৎসা চলবে।’

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ, উপ-পরিচালক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন, সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ প্রমুখ।