দেশে ফিরেই বাণিজ্যমন্ত্রী বললেন, ‘নিত্যপণ্যের সংকট নেই, দামও বাড়েনি’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পাঁচ দিনের ভারত ও ভুটান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। ফেরার পরই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোনও সংকট নেই। পর্যাপ্ত মজুত আছে। রোজাকে সামনে রেখে অধিকাংশ ক্রেতা বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র একবারে কিনে নিচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে কিছু অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ী হয়তো বেশি দাম নিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনও পণ্যের দাম নতুন করে বাড়েনি।’

রবিবার (২৬ মার্চ) লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ ইমিগ্রেশন হয়ে সড়কপথে দেশে ফেরেন মন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ইরানা মালাবিকা মুনশি ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা সামসিয়ারা রহমান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী দেশে প্রবেশ করলে বুড়িমারী স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুজ্জামান সাঈদ তাকে স্বাগত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পাটগ্রাম থানার ওসি আব্দুল মোত্তালিব মুসা, তিস্তা ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি কমান্ডার একরামুল হক প্রমুখ।  

জানা গেছে, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী পাঁচ দিনের সরকারি সফরে ভুটান ও ভারত সফরে যান। তিনি গত ২১ মার্চ লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে সড়কপথে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। একইদিন তিনি ভারতের জয়গাঁ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে ভুটানের ফুয়েলছিলিং ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে থিম্পুতে ‘লি মেরিডিয়ান’ আবাসিক হোটেলে ওঠেন। ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত অবস্থানকালে ভুটানের ফুয়েলছিলিং-ভারতের জয়গাঁ আন্তর্জাতিক স্থলবন্দর জিরোপয়েন্ট পরিদর্শন করেন এবং ভুটান সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর তিনি ভুটান থেকে ভারতে যান এবং ২৪ ও ২৫ মার্চ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন মুক্তি ক্যাম্প (১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধেও সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প) পরিদর্শন করেন। আজ দুপুরে তিনি সড়কপথে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর-বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে দেশে ফেরেন।    

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘ভুটান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। আমরা ভুটান থেকে পাথর ও ফলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করি। ভারতের করিডোর হয়ে আসা ভুটানের পণ্যবোঝাই গাড়িগুলো সরাসরি আসতে কিছু ঝামেলা ছিল। এই চুক্তির ফলে ভুটান থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়িগুলো ভারতে চেক করা হবে না। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যে হয়রানি হতো সেটি নিরসন হবে। এই চুক্তির ফলে দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যেরও বিস্তার ঘটবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ভুটান-ভারত আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে আগ্রহী। লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দরটি চালু করা যায় কি-না, এ নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’