রংপুরে ‘হাততালি কর্মসূচি’তে হত্যা মামলার আসামি

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যঙ্গ করে রংপুরে ‘হাততালি কর্মসূচি’ পালন করা হয়েছে। এতে ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহতের নামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে শিশুসহ ছয় জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের সামনে রংপুর নগরীর প্রধান সড়কে মানববন্ধনের নামে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে এমন কর্মসূচির নামে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে ব্যঙ্গ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রংপুরবাসীর ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হলেও এতে অংশ নেন ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহতের নামে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে শিশুসহ ছয় জনকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের নেতারা। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের কয়েকজন নেতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও গোয়েন্দা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রংপুরবাসীর ব্যানারে হাততালি কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। শনিবার বেলা ৩টায় ঘোষণা অনুযায়ী বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক লেখা প্লাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরির সামনে দাঁড়ান ১৮ জন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির রংপুর জেলা আহ্বায়ক বাসেত মারজান। তিনি ২০১৪ সালে বাসে আগুন দিয়ে ছয় যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া ছিলেন সদস্য সচিব এনামুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের রংপুরের আহ্বায়ক প্রত্যয় মিজানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে সাবেক ছাত্রশিবিরের দুই-তিনজন নেতা ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন-চার জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় তাদের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন র‌্যাব হেফাজতে জেসমিন হত্যা, সাংবাদিক হয়রানি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাততালি কর্মসূচি।’

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন চির কবীর। তিনি নিজেকে সাবেক শিক্ষক পরিচয় দেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের সঙ্গে উপহাস করছেন, সে জন্য তাকে হাততালি দিয়ে সমর্থন জানাতে চাই।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের রংপুরের আহ্বায়ক বলেন, ‘এটা কোনও দলের কর্মসূচি নয়, এটা রংপুরবাসীর কর্মসূচি।’

তবে সাবেক জামায়াত নেতা এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক বাসেত মারজান এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।