বাবার বাড়ি থেকে টাকা না আনায় স্ত্রীকে হত্যা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর মারধরে মনিরা খাতুন (২৬) নামের এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল মমিন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ নিহতের শাশুড়ি সখিনা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও পলাতক স্বামী সাখাওয়াত হোসেন।

শুক্রবার (১২ মে) রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত নারী দেওগ্রাম—ভূতগাড়ী গ্রামের আব্দুল মমিন মিয়া মেয়ে। মামলার আসামি স্বামী সাখাওয়াত হোসেন (৪০) ও শ্বশুর মামুনুর রশিদ (৬০) পলাতক রয়েছেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। চার বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছিল। এসব নিয়ে একাধিবার গ্রামে সালিশ হয়েছে। শুক্রবার রাতে আবার ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মারধর করলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মনিরা। পরে প্রতিবেশীরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বিয়েতে স্বামীর পরিবারের চাহিদামতো যৌতুক দিলেও আরও এক লাখ টাকা দাবি করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। গতকাল বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা আনতে বললে ওই গৃহবধূ অস্বীকৃতি জানান। এরপর মারধর করা হয়।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সাদিয়া আফরিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার কপালে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ধারণা করছি, তার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে এতেই মৃত্যু হয়েছে।

ঘোড়াঘাট থানার ওসির আবু হাসান কবির বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মামলা করেছেন। সেই মামলায় ইতোমধ্যেই তার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছি। এখনও স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছে। গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।